আপনি যদি প্রফেশনাল Youtuber হতে চান তাহলে পোস্টটা পড়ুন, কিভাবে ভিডিও বানাবেন, কোন কোন এপ ইউজ করবেন?

January 5, 2021

0 71 5 minutes read

আসসালামু আলাইকুম

প্রথমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি Techshohor24 ওয়েবসাইটের নতুন পোস্টে,
ইতিমধ্যে আজকের পোষ্টের বিষয় অলরেডি আপনারা হয়তো বুঝেতে পারছেন, তো আজকের বিষয় হচ্ছে যে কিভাবে আপনারা নিজেরা প্রফেশনাল ইউটিউবিং করবেন, তা আমি আপনার সামনে এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব তো তার জন্য অবশ্যই আপনারা সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার চেষ্টা করবেন,
বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং সহজতম ইনকাম সোর্স হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং, অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমান যুগে আমাদের দেশের অনেক মানুষ লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতেছে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে,
এই ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যাটাগরি হচ্ছে ৩/৪ রকমের যেমন, ওয়েভ ডিজাইন,ওয়েভ ডেভলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ইত্যাদি নানা ধরনের ক্যাটাগরি আছে, যার মধ্যামে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব এবং বর্তমানে বিশ্বে সবচাইতে জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে ফাইবার যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে থাকে,
তো আপনি নিজেও যদি চান ফ্রিল্যান্সার হবেন, তাহলে আপনাকে যে জিনিসগুলো সবচাইতে বেশি বেশি প্রয়োজন,সেটি হচ্ছে প্রথমে আপনাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, মানে আপনাকে ওয়েবডিজাইন অথবা আপনি যে ক্যাটাগরিতেই কাজ করতে চান, তো সেই কাজগুলো আপনাকে প্রথমে শিখতে হবে,শিখার জন্য হাজার হাজার টাকার প্রয়োজন,
তো তারপর আপনাকে তার আগে আপনাকে একটা ভালো কি কম্পিউটার দরকার হবে, তো তারপর আপনাকে ভালো একটা ইন্টারনেটের দরকার হবে এরকম অনেক ধরনের জিনিসের প্রয়োজন হয় সব মিলিয়ে কিন্তু আমাদের দেখা গেছে সব কিছুই কিন্তু আমরা জোগাড় করতে পারি না,
বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব, আপনি হয়তো জানেন না যে ইউটিউব থেকেও কিন্তু আপনি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই কিন্তু ইউটিউব থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন! এখানে আপনাকে ইনকাম করতে আপনার না লাগবে কোনো প্রশিক্ষণ, না লাগবে আপনার ভালো একটি কম্পিউটার, শুধুমাত্র আপনার হাতের ফোনটা দিয়ে আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন, এমনকি আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন,
তো তার জন্য আপনাকে যে জিনিস গুলো প্রয়োজন হবে, কিভাবে আপনি ভিডিও আপলোড করবেন, কিভাবে আপনি ভিডিও মেক করবেন কিভাবে আপনার টপিক খুঁজবেন, তো আমি আপনাদেরকে এই বিষয়গুলা step-by-step আমি আপনাদেরকে পোস্টে বলে দেয়ার চেষ্টা করব, তো তার জন্য অবশ্যই আপনার দয়া করে পোস্টটা সম্পন্ন কল পরবেন তো চলুন শুরু করা যাক,
তো আমি নিজেও একজন ইউটিউবার, তো আমি কোন কোন অ্যাপ দিয়ে ভিডিও মেক করি, কোন কোন অ্যাপ দিয়ে থামনেল বানাই, কোন কোন অ্যাপ দিয়ে ভিডিও Seo করি, তা আপনাদের ভাই আপনাদেরকে আজকে দেখাবে,

তো তার জন্য আপনাকে প্রথমে একটা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে নিতে হবে, ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা কিন্তু একদম সোজা, আপনারা অবশ্যই ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন , How to create Youtube Channel in Bangla,
তো এভাবে সার্চ করে অবশ্যই একটা ভিডিও দেখে একটা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে নেবেন, তো গেলো ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা, তো এখন আপনারা অবশ্যই একটা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করার আগে অবশ্যই আপনার মাথায় রাখবেন, যে আপনি যে ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করেছেন, কি নাম দিয়ে ক্রিয়েট করছেন! আপনি যদি কারো Channel এর নামের সাথে মিল রেখে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর নাম দেন,তাহলে ইউটিউব নিজেই ধরে নেই, এটা একটি স্ক্যাম ইউটিউব চ্যানেল,এর জন্য চেষ্টা করবেন সবার থেকে আলাদা ভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা, গেল আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা,এখন আপনার চেনেলটা কাস্টমাইজ করতে হবে মানে লগো ব্যানার এগুলা এড করা,এগুলাও পারবেন সেইম ভাবে Youtube ভিডিও দেখে করে নিবেন,
বলতে ভুলে গেছি আপনি কি কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবেন,Technology, নাকি Other Content, তাহলে কনটেন্ট সেট করুন,
আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো আমি ইউজ করে থাকি, তো সেই অ্যাপ্লিকেশন গুলো আমি আপনাদেরকে আজকে বলবো,
AZ Screen Recorder Premium
Kinemaster Premium
Pixllab
You tag Premium
YT Studio
আমার ভিডিও তৈরিতে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইউজ করে থাকি,
স্কিন রেকর্ড করার জন্য আমার কাছে সবচাইতে Best এবং প্রিয় একটি স্ক্রিন রেকর্ড হচ্ছে
AZ Screen Record Premium, যেটা দিয়ে আমি নিজেও ভিডিও স্ক্রিন রেকর্ড করি, এই এপে আমি অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকি, যেমন Voice quality HD,Video Quality HD, any Sound 80% Fix, মজার বিষয় হলো microphone ছারাই Voice quality অস্থির????, এই এপ হচ্ছে একটি
প্রিমিমাম মানে পেইড ডলার দিয়ে কিনে নিতে হয়,এই এপটি ডাওনলোড করতে চাইলে গুগল থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন, সার্চ করুন AZ Screen Recorder Premium,
তারপর আমি ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে তাকে কাইনমাস্টার যেটা মূলত কাইনমাস্টার প্রো ভার্সন যেটা আপনার অবশ্যই ইউটিউব সার্চ করলে আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন,
কারন এটাও পেইড এপ,কোনো watermark নাই এবং Media supported,এবং প্রিমিয়াম ফিচার এড করা,
তারপর Thumbnail তৈরি করার জন্য আমি ইউজ করে থাকি Pixllab যেটা মূলত HD কোয়ালিটিতে করা যায়, তারপর আমি মনের মতন Thumbnail বানাতে পারি, যারা Thumbnail বানাতে পারেন না তারা অবশ্যই ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করবেন যে কিভাবে থামনেল মিট করতে হয় তারপর আপনার মেক করে নিতে পারবেন,
একটা ভিডিও ভাইরাল করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ট্যাগ, এটাই হচ্ছে SEO ভিডিও আপলোড করার পর আমি Unlisted করে SEO করি,মানে ট্যাগ বসাই,
ট্যাগ সম্বন্ধে যদি আইডিয়া না থাকে, তাহলে অবশ্যই ইউটিউব থেকে রিসার্জ করে জেনে নিতে পারেন,
কিভাবে ভিডিওতে ট্যাগ লাগাতে হয়, তো তা অবশ্যই ইউটিউব থেকেই জেনে নিতে পারেন, তো এখন একটা কথা হল যেহেতু আমরা কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই ইউটিউবিং করতে যাইতেছি, তো সেজন্য অবশ্যই আপনাকে মিনিমাম 1 থেকে 2 সপ্তাহ যাবৎ আপনাকে ইউটিউবিং করার আগে, অবশ্যই রিসার্জ করতে হবে, যে কিভাবে কি করতে হয়,
ট্যাগ ইউজ করার জন্য আপনারা চাইলে অ্যাপ ইউজ করতে পারেন অথবা ওয়েবসাইট ইউজ করতে পারেন তো আমি ট্যাগ ইউজ করার জন্য রাপিড টেগ ডটকম ওয়েবসাইট ইউজ করি, তারপর You tag premium ইউজ করি, তো আপনারা চাইলে ইউজ করতে পারেন,ভিডিওতে থামনেল ট্যাগ ডিসক্রিপশন বক্স এগুলা ইডিট করার জন্য, আমি YT STUDIO অ্যাপ ইউজ করি থাকি, তো সে ক্ষেত্রে আমাকে বারবার ব্রাউজারে গিয়ে ইউটিউব Youtubestudio.com লিখে সার্চ করতে হয় না, সে ক্ষেত্রে আমি খুব ইজিলি ভাবে স্টুডিও থেকে এডিট করতে পারি,
আমি ভিডিও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এইগুলা দিয়ে কাজ করে থাকি, তো তারপর ইউটিউবে আপনাকে একটি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, চ্যালেঞ্জটা বলতে আপনাকে ইউটিউবে আসার পর আপনাকে চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে আপনাকে 1000 সাবস্ক্রাইব তারপর অবশ্যই আপনাকে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম আপনাকে পূরণ করতে হবে এক বছরের ভিতর,
সেক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব এর সাথে পার্টনারশিপ হতে পারবেন,মানে মনিটাইজ করানোর সুযোগ পাবেন,মানে Youtube এর রুলস হলো মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে আপনার চেনেলে ১০০০ Subscribe এবং ৪০০০ ঘন্টা Watchtime, (২৪০০০০) মিনিট লাগবে
সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে এড আসবে,তারপর যত ভিডিও আপলোড দিবেন যত ভিও হবে তত ইনকাম,
এখন আসি টপিক খুঁজে দেয়ার পালা, আপনাকে টপিক খুঁজে দেই,তো একটা কথা হলো এই বিশ্বের যত Technology Youtube চেনেল আছে,সবাই একে অপরের উপর নির্ভশিল, যেমন আমি আজ একটা ভিডিও বানালাম আমার কাছ থেকে দেখে অনেক Youtuber interest হয়েছে এটা নিয়ে ভিডিও বানিয়েছে,সবাই এমনটাই করে, তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যে বর্তমানে কোন টপিক সবাই চাই, ওইটা নিয়ে ভিডিও দিতে হবে, সেক্ষেত্রে রেংক করার চান্স বেশি,তারপরও টপিক না পেলে,কি নিয়ে ভিডিও বানামু? বুজতে না পরলে আমাকে ফলো করেন Youtube+Website বিষয়টা বুজাতে পারছেন,
এখন কথা হলো,
ইউটিউব টা কি আপনি যতই সহজ মনে করেন না কেন তুই ভীতু কিন্তু সহজ না তো আপনারা কিন্তু অনেক কিভাবে থাকেন যে আমরা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করব আর প্রতিদিন হাজার হাজার ভিউ সাজবে ইউটিউব কিন্তু তেমন না,আপনার ধারনা ভুল!
তোমায় আমি আপনি যখন ইউটিউবে প্রথম ভিডিও আপলোড করবেন তো দেখবেন প্রথম অবস্থায় আপনার এত খারাপ অবস্থা থাকবে ইউটিউবের ভিডিওতে তো এজন্য আপনাকে অবশ্যই হতাশা হলে হবে না তো আপনাকে এখানে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে মোটকথা আপনাকে প্রতিনিয়ত একটি একটি ভিডিও আপলোড করতে হবে,
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, কিন্তু দেখা গেছে যারা তারা যখন ভিডিওতে ভিউ কম পায়, তখন তারা আর ইউটিউবিং করে না, তো আমি আপনাদেরকে বলবো যে আপনারা কখনোই হতাশ হবেন না, তো এখানে আপনার হতাশ হওয়ার কিছুই নাই, আপনারা চেষ্টা করবেন যত বেশি পারেন ভিডিও আপলোড করার জন্য, তো আপনাকে প্রথম অবস্থায় ভিডিও ভিও এর নজর দিবেন না,
মানে প্রথম অবস্থায় আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য ধরতে হবে, তারপর আপনাকে কাজ করতে হবে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে, তো যত বেশি পারেন ভিডিও আপলোড দিবেন, তো একদিন না একদিন দেখবেন আপনার ভিডিও রেংক করছে, আর আপনার চ্যানেলটা দেখবেন উপরে উঠে গেছে, তো যত পরিমাণ আপনার ধৈর্য থাকবে তত পরিমান সফলতা পাওয়ার চেন্স বেশি,
কখনো হার মানার চেষ্টা করবেন না, চেষ্টা করবেন বেশি বেশি ভিডিও আপলোড করতে, তারপর আপনার চেষ্টা করবেন যে বর্তমান সময়ে ভাইরাল কি আছে তা খুজা খুজি করবেন, মানে ভাইরাল কোন টপিক থাকলে অবশ্যই ভাইরাল টপিক নিয়ে কাজ করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটা Rank করার সম্ভাবনা বেশী, বিষয়টা বুঝতে পারছেন তো পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে বেলটা বাজিয়ে দিতে ভুলবেননা,